পবিত্র শাহরুল্লাহিল হারাম রজবুল আছম্ম উনার পহেলা রাত উনার বেমেছাল ফযীলত
শতকরা ৯৭ ভাগ মুসলমানের দেশে হেফাজতে ইসলাম নামধারীরা হাজার হাজার পবিত্র কুরআন শরীফ পুড়িয়ে পবিত্র কুরআন শরীফ উনাকে ইহানত করে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার বিদ্বেষী পাদ্রীদের ও ঘৃণ্য খ্রিস্টানদেরও হার মানিয়েছে এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনার অবাধ সুযোগ করে দিয়েছে। (নাঊযুবিল্লাহ)
কথিত হেফাজতীরা নাস্তিক মাওসেতুংয়ের নাস্তিক্যবাদী কর্মসূচি লংমার্চ করেছে; কাট্টা হিন্দু গান্ধীর হরতাল করেছে, খ্রিস্টানদের অনুসরণে ব্লাসফেমি আইন চাচ্ছে, যালিম সন্ত্রাসীদের কায়দায় এদেশের স্বাধীনতা বিপন্ন করার জন্য যেখানে পেরেছে সেখানে আগুন জ্বালিয়েছে, বর্ণনাতীত সহিংসতা ও তাণ্ডব চালিয়েছে এবং লুটপাটও করেছে। সাথে সাথে পুলিশ-বিজিবিসহ নিরীহ মানুষদের অকাতরে শহীদ করেছে।
তারা হেফাজতে ইসলাম নয় বরং হেক্বারতে ইসলাম
কোনো ব্যক্তি, গোষ্ঠী, সম্প্রদায় বা দল পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার হেফাজতের মালিক নয়। বরং পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার হেফাজতের মালিক স্বয়ং খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি। পবিত্র কুরআন শরীফ উনার সূরা হিজর শরীফ উনার ৯নং পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, নিশ্চয়ই আমি পবিত্র কুরআন শরীফ নাযিল করেছি এবং আমিই পবিত্র কুরআন শরীফ উনার হিফাযতকারী। উল্লেখ্য, পবিত্র কুরআন শরীফ এবং পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের মধ্যে ইলমই হচ্ছে দ্বীন ইসলাম। Continue reading
ধর্মকে ব্যবহার করে দুনিয়া হাছিল করা যাবে, তবে মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদেরকে সন্তুষ্ট করা যাবে না
খালিছভাবে মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের মুবারক সন্তুষ্টির জন্য যেকোনো কাজই করা হোক না কেন, তা ছহীহ ইসলামী তর্য-তরীক্বা অনুযায়ীই করতে হবে। তাহলে সেটা যতো অল্প বা ক্ষুদ্রই হোক না কেন তা উনাদের পাক দরবারে গৃহীত বা মক্ববুল হবে।
অন্যদিকে মানুষকে ধর্মের নামে ধোঁকা দেয়ার জন্য, দুনিয়াবী রাজনৈতিক ফায়দা হাছিলের জন্য অথবা মানুষের বাহবা কুড়ানোর জন্য কিংবা নামধাম অর্জনের জন্য যারা কাজ করে তা আপাতদৃষ্টিতে যতো বড়ই হোক না কেন এবং এর দ্বারা সাময়িক দুনিয়াবী কিছু সুযোগ-সুবিধা হাছিল হলেও তা মহান আল্লাহ পাক এবং উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের নিকট মোটেও গ্রহণযোগ্য বা মক্ববুল হবে না। বরং উনারা চরমভাবে অসন্তুষ্ট হবেন এবং যা পরকালে জাহান্নামের পথকে প্রশস্ত করবে। Continue reading
হযরত মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার অবস্থান গ্রহণের কারণে সোনার বাংলাদেশ হীরার বাংলাদেশে পরিণত হয়েছে (৫)
মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “নিশ্চয়ই আমার রহমত আমার ওলীগণ উনাদের নিকটবর্তী।” সবকিছুর মূল হচ্ছে মহান আল্লাহ পাক উনার রহমত। যমীনে ফসল ফলে, ফুল ফুটে, ফল হয়, খনিজসম্পদ হয়, প্রাকৃতিক দুর্যোগ হতে মানুষ হিফাজত লাভ করে, অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো হয়- এসব কিছুই মহান আল্লাহ পাক উনার রহমতের সাথে সংশ্লিষ্ট।
আর সেই রহমত পাওয়া যায় মহান আল্লাহ রব্বুল আলামীন উনার যাঁরা ওলী রয়েছেন উনাদের নিকট। বিধায় মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি যেদেশে অবস্থান করবেন সেদেশ ফুল, ফল, ফসল, খনিজসম্পদসহ সর্বদিক দিয়ে অর্থনৈতিকভাবে বিশ্বে সবচেয়ে সমৃদ্ধশালী হবে- এটা অতি স্বাভাবিক বিষয়। তাই বাংলাদেশ বিশ্বের সবচেয়ে সমৃদ্ধশালী এবং ধনী দেশ।
বঙ্গোপসাগরে রয়েছে ১০০ ট্রিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস
বাংলাদেশের স্থলভাগে মজুদ রয়েছে ৭.৩ ট্রিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস। অপরদিকে বাংলাদেশের সমুদ্র সীমা রেখার মধ্যে বঙ্গোপসাগরে মজুদ রয়েছে ১০০ ট্রিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস। যা স্থলভাগের মজুদের তুলনায় ১৩ গুণেরও বেশি। আন্তর্জাতিক আদালতের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বাংলাদেশের মালিকাধীন বঙ্গোপসাগরের আয়তন ১ লাখ ১১ হাজার বর্গ কিলোমিটার। প্রকৃত আয়তন আরো বেশি। অথচ মৎস্য আহরণ হচ্ছে মাত্র সাড়ে ১৪ হাজার বর্গকিলোমিটারে। অর্থাৎ প্রায় ১ লাখ বর্গকিলোমিটার এলাকার মৎস্য সম্পদ এখনো অনাবিষ্কৃতই রয়ে গেছে। এতে বড় অঙ্কের রফতানি আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে দেশ। বঙ্গোপসাগরে রয়েছে পেলাজিক জাতের পর্যাপ্ত মাছ। এসব মাছের গড় ওজন ২২ কেজি। ৭০ কেজি ওজনের হাঙ্গর ও ৩০ কেজি ওজনের টুনাও রয়েছে এর মধ্যে।
রামপালের কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের নামে বাংলাদেশের অর্থ শুষে খাবে মুশরিক নিয়ন্ত্রিত ভারত ॥ উপরন্তু ধ্বংস করে দিবে আমাদের ঐতিহ্য ও গৌরব ‘সুন্দরবন’ ॥ শত্রুর সাথে দেশবিরোধী এ চক্রান্তমূলক চুক্তি বাতিলের কোনোই বিকল্প নেই-৪
নিজ দেশে ভারতের কাছ থেকে দ্বিগুণের বেশি দামে বিদ্যুৎ কিনতে হবে!
উৎপাদিত বিদ্যুতের বিক্রয় মূল্য কত হবে- তাও নির্ধারণ করা হয়নি এই চুক্তিতে। বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, এনটিপিসি ও বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) সাথে চুক্তি হওয়ার আগে পিডিবি কী দামে বিদ্যুৎ কিনবে, জ্বালানি হিসেবে কয়লার মূল্য কত হবে এসব বিষয় চূড়ান্ত করার কথা ছিল। পিডিবি ভারতের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান এনটিপিসি’কে বিদ্যুতের মূল্য নির্ধারণের জন্য প্রাক সমীক্ষা করতে দায়িত্ব দিয়েছিল। ভারতের এনটিপিসি প্রাক-সমীক্ষা শেষে পিডিবি’র কাছে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের মূল্য ১৪ টাকা দাবি করেছিল। সেটা গৃহীত না হওয়ায় এনটিপিসি আবার প্রাক-সমীক্ষা করে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের মূল্য আট টাকা ৫৫ পয়সা করার কথা বলে। পরে এ বিষয়ে একমত না হওয়ায় এখন মূল্য নির্ধারণ ছাড়াই বিদ্যুৎ কেনার চুক্তি করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। Continue reading